Skip to content

এই যে আমি – “স্টয়িক ব্লিস

কতদিন কেটে গেলো তোমায় না দেখে
কতরাত পার হলো তোমায় পাশে না পেয়ে
মাঝে মাঝে মনে হয় যদি দেখাতে পারতাম
কতো ভালোবাসি তোমাকে।

যেদিকে তাকাই সেদিকে দেখি তোমার সেই
প্রতিচ্ছবি
মনে পড়ে যায় যে বৃষ্টিতে প্রথম ভালোবাসেছিলাম
তোমায়।
আঁধারে ঘেরা আমার এই দুনিয়ায়
আলো দিয়ে ভরে দিলে তুমি
ঘোলাটে মেঘলা আকাশে আমার
রংধনু হয়ে এলে তুমি।

জানলার পাশে যখনই রাগ করে কাদতে
বুঝতে পারিনি জমে কতরাগ সেই বুকে
সময়ের কাঁটা যদি ঘুরিয়ে দিতে পারতাম
দেখতে আমার আদর কিভাবে।
জড়িয়ে তোমায় হদয়ে রেখে কষ্ট গুলো মুছে দিয়ে
তুমি আমার ভোরেরই আলো তোমাতেই বেধে নিলে।
শুধু তোমায় কাগজে লিখে সাজিয়েছি কবিতায়
কবিতায়
জোসনার রাত আর সবকিছু আজ তোমার সেই
প্রতীক্ষায়।

যেদিকে তাকাই সেদিকে দেখি তোমার সেই
প্রতিচ্ছবি..
মনে পড়ে যায় যে বৃষ্টিতে প্রথম ভালোবেসেছিলাম
তোমায়।
আঁধারে ঘেরা আমার এই দুনিয়ায়
আলো দিয়ে ভরে দিলে তুমি
ঘোলাটে মেঘলা আকাশে আমার
রংধনু হয়ে এলে তুমি।
কেঁদো না দেখো এই যে আমি..হাত তোমার
ধরে রেখেছি
আপ্পি তুমি আমার আপ্পি
চোখ খুলে দেখো এই যে…

হাসিমুখ- “শিরোনামহীন”

প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি জানালায়
হাসিমুখ, হাসিমুখে আনন্দধারা।
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,
হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

রোদ উঠে গেছে তোমাদের নগরীতে
আলো এসে থেমে গেছে তোমাদের জানালায়,
আনন্দ হাসিমুখ, চেনা চেনা সবখানে
এরই মাঝে চল মোরা হারিয়ে যাই।
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,
হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

হারিয়ে যেতে চাই, তোমাদের রাস্তায়,
হারিয়ে যেতে চাই, তোমাদের রাস্তায়,
অনেক অজানা ভীড়ে স্বচ্ছ নিরবতায়,
রোদ উঠে, গেছে চেনা এই নগরীতে নাগরিক
জানালা
হাসিমুখে একাকার।
আনন্দ উৎসব চেনাচেনা সবখানে,
এরই মাঝে আমাদের ছুটে যাওয়া দরকার।

তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,
হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

আমি তোমাকেই বলে দিবো – সঞ্জীব চৌধুরী

শিরোনামঃ আমি তোমাকেই বলে দিবো
কন্ঠঃ সঞ্জীব চৌধুরী
ব্যান্ডঃ দলছুট
অ্যালবামঃ হৃদয়পুর

আমি তোমাকেই বলে দেবো
কিযে একা দীর্ঘ রাত
আমি হেটে গেছি বিরাণ পথে
আমি তোমাকেই বলে দেবো
সেই ভুলেভরা গল্প
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়

ছুঁয়ে কান্নার রঙ
ছুঁয়ে জোছনার ছায়া(২)

আমি তোমাকেই বলে দেবো
কিযে একা দীর্ঘ রাত
আমি হেটে গেছি বিরাণ পথে
আমি তোমাকেই বলে দেবো
সেই ভুলেভরা গল্প
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়

ছুঁয়ে কান্নার রঙ
ছুঁয়ে জোছনার ছায়া(২)

আমি কাউকে বলিনি সে নাম
কেউ জানেনা, না জানে আড়াল (২)
জানে কান্নার রঙ
জানে জোছনার ছায়া (২)

তবে এই হোক
তীরে জাগুক প্লাবন
দিনে হোক লাবণ্য
হৃদয়ে শ্রাবণ। (২)
তুমি কান্নার রঙ,
তুমি জোছনার ছায়া।
তুমি কান্নার রঙ,
তুমি জোছনার ছায়া।

আমি তোমাকেই বলে দেবো
কিযে একা দীর্ঘ রাত
আমি হেটে গেছি বিরাণ পথে
আমি তোমাকেই বলে দেবো
সেই ভুলেভরা গল্প
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়

ছুঁয়ে কান্নার রঙ
ছুঁয়ে জোছনার ছায়া(২)

বৃষ্টি তোমাকে দিলাম

♫♪আমার সারাটা দিন, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি
তোমাকে দিলাম
শুধু শ্রাবন সন্ধ্যাটুকু তোমার কাছে
চেয়ে নিলাম।।

হৃদয়ের জানালায় চোখ মেলে রাখি
বাতাসের বাশিতে কান পেতে থাকি
তাকেই কাছে ডেকে, মনের আঙ্গিনা থেকে
বৃষ্টি তোমাকে তবু ফিরিয়ে দিলাম।।

তোমার হাতেই হোক রাত্রি রচনা
এ আমার স্বপ্ন, সুখের ভাবনা
চেয়েছি পেতে যাকে, চাইনা হারাতে তাকে
বৃষ্টি তোমাকে তাই ফিরে চাইলাম।।♫♪

হাসতে দেখো গাইতে দেখো – আইয়ুব বাচ্চু

হাসতে দেখো গাইতে দেখো
অনেক কথায় মুখোর আমায় দেখো
দেখো না কেউ হাসির শেষে নীরবতা।

বোঝে না কেউ তো চিনলো না
বোঝে না আমার কি ব্যাথা
চেনার মত কেউ চিনলো না
এই আমাকে।

আমার সুরের বুকে কান্না লুকিয়ে থাকে
আমার চোখের কোনে নোনা ছবি আকে
আমার গল্প শুনে হয় আলোকিত উত্সব
গল্প শেষে আমি আঁধারের মতো নীরব
নিজেকে ঢেলে আমি কত সুখ দিলাম।

আমার গানে একা নির্ঘুম অনেক প্রহর
আমায় ছেড়ে জোনাকি ছেড়ে বিরাট শহর
ডাকার কথা জাগে ডাকেনি কেউ কাছে
নিঃসঙ্গ এই আমি পুড়েছি মনের আঁচে
আমার মাঝে আমি-ই যেন শুধু লুকাই।

বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা – বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা

♪বড় ইচ্ছে করছে ডাকতে, তার গন্ধ মেখে থাকতে
কেন সন্ধ্যে সন্ধ্যে নামলে সে পালায় !
তাকে আটকে রাখার চেষ্টা আরো বাড়িয়ে দিছে তেষ্টা
আমি দাঁড়িয়ে দেখছি শেষটা জানলায় !
বোঝেনা সে বোঝেনা বোঝেনা সে বোঝেনা
বোঝেনা সে বোঝেনা , বোঝেনা সে বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা …

পায়ে স্বপ্ন স্বপ্ন লগ্নে
তার অন্য অন্য ডাকনাম ,
তাকে নিত্য নতুন যত্নে কে সাজায় !
সব স্বপ্ন সত্যি হয় কার ?
তবু দেখতে দেখতে কাটছি আর হাঁটছি যেদিকে আমার দুচোখ যায় !
বোঝেনা সে বোঝেনা , বোঝেনা সে বোঝেনা !
বোঝেনা সে বোঝেনা , বোঝেনা সে বোঝেনা !
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা …

আজ সব সত্যি মিথ্যে দিন বলছে
যেতে যেতে
মন গুমড়ে গুমড়ে মরছে কি উপায় !
জানি স্বপ্ন সত্যি হয় না , তবু মন-ও মানতে চায় না
কেন এমন রাত্রি নামছে জানলায় !
বোঝেনা সে বোঝেনা , বোঝেনা সে বোঝেনা !
বোঝেনা সে বোঝেনা , বোঝেনা সে বোঝেনা !
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা …

এটা গল্প হলেও পারতো
পাতা একটা আধটা পড়তাম !
খুব লুকিয়ে বাঁচিয়ে রাখতাম তাকে !
জানি আবার আসবে কালকে নিয়ে পালকি পালকি ভাবনা
ফের চলে যাবে করে একলা আমাকে |
বোঝেনা সে বোঝেনা , বোঝেনা সে বোঝেনা !
বোঝেনা সে বোঝেনা , বোঝেনা সে বোঝেনা !
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা …♫♪

“চাইতে পারো ২ – অর্থহীন

চাইতে পারো আবার সেই জোছনা
ঘরের সিলিং এ সন্ধাতারাটা
চাইতে পারো সারা রাত আর সারা দিন
হবে না যে কখনো আর লোডসেডিং।
চাইতেই পারো আমার ঘাড়ে পা রেখে
আকাশটা ছোয়ার স্বপ্ন দেখতে
চাইতেই পারো শুনতে নতুন এক গান
করবো না যেখানে তোমায় আর অপমান।

একমুঠো গোলাপ আর ঐ নীল আকাশ
আকাশের ঐ চাদ অথবা এই রাত..
কান্না ভেজা চোখ অথবা মিস্টি হাসি
যতই দেখাও আমাকে পাবে না কিছুই তুমি।

তোমার জন্য নয় আমার কোন কিছুই
বলেছিলাম অনেক আগেই ভুলে গেছো কি।

চাইতেই পারো তুমি জি সিরিজ থেকে
ফুয়াদ ফিচারিং অ্যালবাম ছাড়তে..
চাইতেই পারো চেষ্টা করে দেখতে
কে আছে আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে।
চাইতেই পারো তুমি হয়ে যেতে
আজকে এফ এম চ্যানেলের হিট কোন আরজে..
চাইতেই পারো নতুন এক ডিও স্প্রে
মনের দূর্গন্ধটা দূর করতে।

একমুঠো গোলাপ আর ঐ নীল আকাশ
আকাশের ঐ চাদ অথবা এই রাত..
কান্না ভেজা চোখ অথবা মিস্টি হাসি
যতই দেখাও আমাকে পাবে না কিছুই তুমি।

তোমার জন্য নয় আমার কোন কিছুই
বলেছিলাম অনেক আগেই ভুলে গেছো কি।

একমুঠো গোলাপ আর ঐ নীল আকাশ
আকাশের ঐ চাদ অথবা এই রাত..
কান্না ভেজা চোখ অথবা মিস্টি হাসি
যতই দেখাও আমাকে পাবে না কিছুই তুমি।

তোমার জন্য নয় আমার কোন কিছুই
বলেছিলাম অনেক আগেই ভুলে গেছো কি।

আনমনে ২ -অর্থহীন

আবার ফিরে পাই পুরোনো স্মৃতি নতুন গানে
স্মৃতির পাতাতে দেখি তোমার ছবি।

কেটে গেছে যে কত মুহুর্ত তোমায় ভেবে
ঝাপসা এই চোখে তোমার ছবি যে ভাসে

মেঘের ঐ দেশে কি হারাও আনমনে
বৃষ্টির ঐ ছোঁয়াতে কি আমায় খোঁজো এখনো।

আবার খুঁজে যাই তোমার সেই হাসি আনমনে
কত রাত নির্ঘুম কাটে তোমায় ভেবে।

আকাশে যখন মেঘের ঘনঘটা
তাকিয়ে থাকি আমি
হয়তো বৃষ্টি আজ ছোঁবে তোমার শরীর

মেঘের ঐ দেশে কি হারাও আনমনে
বৃষ্টির ঐ ছোঁয়াতে কি আমায় খোঁজো এখনো।

“বৃদ্ধাশ্রম” – নচিকেতা

ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্লাটে যায়না দেখা এপার ওপার
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী
সবচে কমদামী ছিলাম একমাত্র আমি

ছেলের আমার, আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম।।

আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
সেসব নাকি বেশ পুরনো ফ্লাটে রাখা যায় না
ওর বাবার ছবি ঘড়ি ছড়ি বিদেয় হল তাড়াতাড়ি
ছেড়ে দিল কাকে খেল পোষা বুড়ো ময়না,

স্বামী স্ত্রী আর এলসেশিয়ান জায়গা বড়ই কম…
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম।

নিজের হাতে ভাত খেতে পারতো না খোকা
বলতাম আমি না থাকলে কি করবি বোকা
ঠোট ফুলিয়ে কাঁদত খোকা আমার কথা শুনে
খোকা বোধহয় আর কাঁদেনা নেই বুঝি আর মনে,
ছোট্র বেলায় স্বপ্ন দেখে উঠত খোকা কেঁদে
দুহাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেঁধে

দুহাত আজো খোঁজে ভুলে যায়যে একদম
আমার ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম।

খোকারও হয়েছে ছেলে দুবছর হল
আরতো মাত্র বছর পচিশ ঠাকুর মুখ তোল
একশ বছর বাঁচতে চাই এখন আমার সাধ
পচিশ বছর পরে খোকার হবে উনষাট

আশ্রমের এই ঘরটা ছোট জায়গা অনেক বেশি
খোকা আমি দুজনেতে থাকব পাশাপাশি

সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষন রকম
মূখোমূখি আমি খোকার বৃদ্ধাশ্রম।

এক পায়ে নূপুর আমার অন্য পা খালি – তপু

এক পায়ে নূপুর আমার অন্য পা খালি
এক পাশে সাগর এক পাশে বালি
তোমার ছোট তরী বলো, নেবে কি?

এক পায়ে নূপুর আমার অন্য পা খালি
এক পাশে সাগর এক পাশে বালি
তোমার ছোট তরী বলো, নেবে কি, নেবে কি?

বলবো না আকাশের চাঁদ এনে দেব
বলবো না তুমি রাজকন্যা
শুধু জিজ্ঞেস করি দেবে কি পাড়ি
হোক যত ঝড়বন্যা
আমার ছোট তরী বলো, যাবে কি, যাবে কি?

নয় মিছে আশা নয় শুধু ভালোবাসা
নই অকারণ প্রেমে অন্ধ
জানি তুমি আমি আমাদের তরী
আজব এক বন্ধুত্ব
তোমার ছোট তরী, বলো নিবে কি?
চাঁদের আলো আজ যদি ভাল লাগে
কালো হয়ে যায় ঝাপসা
তোমার এ তরী যদি চলে যায়
ফিরে আর আসবে না
যতো ভালোবাসি তারে দূরে রয়ে যাবে
তা তো আমি জেনেছি।

একপায়ে নূপুর তোমার অন্য পা খালি
একপাশে সাগর একপাশে বালি
আমার ছোট তরী বলো যাবে কি, যাবে কি?

এক পায়ে নূপুর আমার অন্য পা খালি
এক পাশে সাগর এক পাশে বালি
তোমার ছোট তরী বলো নেবে কি?
আমার ছোট তরী বলো যাবে কি?
তোমার ছোট তরী বলো নেবে কি?
আমার ছোট তরী বলো যাবে কি?